সাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
সিরিজ শুরুর আগে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাইজুল ইসলামের উইকেট ছিল ৪১টি। এ বাঁহাতি স্পিনারের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল ‘সুইং অব সুলতান’ খ্যাত ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড আগে নিজের করে নিয়েছেন।
সিলেট টেস্টে তাইজুল ইসলাম ২৬ ওভার বল করে ১২৩ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন মাত্র ২ উইকেট। পঞ্চাশের বেশি টেস্ট খেলা হলেও প্রত্যাশিত উইকেট না পাওয়াটা এ বাঁহাতি স্পিনারের জন্য কিছুটা হতাশার ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে ঝলক দেখিয়ে তাইজুল প্রকাশ করলেন আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁর আক্ষেপের
চট্টগ্রাম টেস্টে দিনের প্রথম দুই সেশন বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। তৃতীয় সেশনের আগে থিতু হওয়া নিক ওয়েলচ গরম ও ক্র্যাম্পজনিত কারণে স্বেচ্ছায় অবসর নিতেই যেন বদলে যায় দৃশ্যপট। তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদুতে ধসে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং অর্ডার। দিন শেষে ৯ উইকেটে ২২৭
তৃতীয় দিন শেষে সিলেট টেস্ট বেশ জমেই উঠেছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ১৯১ রানে গুটিয়ে ২৭৩ রান করে ৮২ রানের লিড নিয়ে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪ উইকেটে ১৯৪ তুলে এরই মধ্যে ১১২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। হাতে এখনো ৬ উইকেট। একটা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে
টেস্টে টানা ১২ ইনিংসে ফিফটিতে পৌঁছাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের শেষ ৪ টেস্ট ইনিংস এক অঙ্কের ঘরে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে বিদায় বলা মুশফিকের ফোকাস শুধু এখন টেস্টে। তাঁর সিরিয়াসনেস ও প্রস্তুতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে না। কিন্তু বেশ লম্বা সময় ছন্দহীন
সকালে বৃষ্টি, বিকেলে আলোকস্বল্পতা—সব মিলিয়ে সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন খেলা হয়েছে ৪৩ ওভার। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরও এরই মধ্যে হয়ে গেছে স্বাগতিকদের। এই স্কোর কোথায় গিয়ে থামবে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
টেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
জিম্বাবুয়ে আর সিলেট দুটোই যেন প্রিয় তাইজুল ইসলামের। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪১টি করে উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। কাল থেকে সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে অভিজ্ঞ তাইজুলকেও দেখা যেতে পারে একাদশে।
সোনালি সময়টা অনেক আগেই পার করে এসেছে জিম্বাবুয়ে। আইসিসির ইভেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতেই এখন ব্যর্থ হয় তারা। বড় মঞ্চে না থাকলেও ক্রিকেট আর পরিসংখ্যানে—জিম্বাবুয়ের নামটি সামনে আসবেই। আগামী রোববার বাংলাদেশ সফরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবেন ক্রেইগ এরভিন-শন উইলিয়ামসরা।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির মঞ্চ ছিল জিম্বাবুয়ে সিরিজ। সেই সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকেরা। সিরিজ বড় ব্যবধানে জিতেও ‘এ-প্লাস’ পাচ্ছে না বাংলাদেশ! সিরিজজুড়ে ব্যাটিং নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ফিল্ডিংয়ে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া আর ডেথ ওভারে বোলারদের ছন্দ হারানোও ছিল উল্
মিরপুরে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের সান্ত্বনার জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজার জোড়া ফিফটিতে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখেই তাড়া করেছে সফরকারীরা।
মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত শুরুর পরও ব্যাটিং ধসে পড়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে আজও ব্যাটিং ধসে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। টপ অর্ডারদের ধসে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বাংলাদেশ ধুঁকছিল, তখন ত্রাতা হিসেবে মাঠে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।